• ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২, সোমবার ১১ আগস্ট ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Ashish Lal Singh

দেশ

বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের আঁতুরঘর ছিল শচীন্দ্রলালের বাড়ি, সেখানেই থাকতেন বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের আঁতুরঘর ছিল ত্রিপুরা কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা শচীন্দ্রলাল সিংয়ের বাড়ি, অরুন্ধতি নগরের বাড়িতে থাকতেন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান এবং রাতে শচীনবাবুর সরকারি বাসভবনে থাকতেন। মুজিব ও তাঁর সহকারীদের রান্না করে খাওয়াতেন শচীন্দ্রলালে-র ভগিনী হেমাঙ্গিনী সিং। শচীন্দ্রলাল এখনও ত্রিপুরার মানুষের মনে গেঁথে রয়েছেন। উন্নয়নের কান্ডারী টানা ২৪ বছরের মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্রলাল সিং জন্মসুত্রে ভিন রাজ্যের হলেও, কার্যত তিনি ত্রিপুরার ভূমিপুত্রই। ত্রিপুরার রূপকার বললে অত্য়ুক্তি হবে না।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নায়ক মুজিবর রহমান। যিনি বঙ্গবন্ধু নামে অধীক পরিচিত। আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এদেশের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকাও দেশবাসী অবগত রয়েছেন। পাকিস্তান ভেঙে নতুন দেশ গঠন না হলে এখন হয়তো অন্য ইতিহাস লেখা হত। কিন্তু একজনের কথা দেশবাসীকে স্মরণ করতেই হবে, তিনি হলেন ত্রিপুরার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী তথা টানা ২৪ বছর প্রশাসনিক প্রধান শচীন্দ্রলাল সিং। স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় মুজিবর রহমানের এদেশের ঘর ছিল শচীন্দ্রলালবাবুর বাড়ি। সেখানে থেকে যাবতীয় পরকল্পনা রচিত হত। তাছাড়া ত্রিপুরার উন্নয়নের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত শচীন্দ্রলাল সিং।স্বাধীনতা সংগ্রামী হওয়ার কারণে শচীন্দ্রলাল সিং ১৭ বছর ব্রিটিশ জেলে কাটিয়েছেন। ভারত সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশেষ ভুমিকার জন্য ৯৭ জন স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম ঘোষণা করেছে। সেই তালিকায় ই এম এস নাম্বুদিরিপাদ, অতুল্য ঘোষ, গোপিনাথ বড়দলুই, হরেকৃষ্ণ মহাতাব, প্রফুল্ল্য সেনেদের সাথে শচীন্দ্রলাল সিংও ছিলেন। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী পেনসান কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।শচীন্দ্রলাল সিং যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ত্রিগুনা সেনকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলেন ত্রিপুরা থেকে। ওনার সঙ্গে ত্রিগুনা সেনের কথা ছিল কেন্দ্রে মন্ত্রী হলে ওএনজিসি দেবেন। ত্রিগুনা সেনের ঠিকানা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি। ওই ডিমান্ড ফুলফিল করেছিলেন ত্রিগুনা সেন। শচীন্দ্রলাল সিংয়ের আমলেই রাজ্যে গোবিন্দ বল্লভ হাসপাতাল হয়েছিল। তারপর ত্রিপুরায় বড় কোনও হাসপাতাল হয়নি। পাওয়ার প্রোজেক্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কী হয়নি তখন পরশি রাজ্যে।বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় সব থেকে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন শচীন্দ্রলাল সিং। বাংলাদেশ স্বাধীন হয় তখন জেল থেকে বেরিয়ে শচীন্দ্রলাল সিংকে বাংলাদেশের ঢাকায় নিয়ে যান মুজিবর রহমান। সেখানে রেড কার্পেটে তাঁকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। মুজিবর রহমান শচীনবাবুর জন্য চেয়ার ছেড়ে দেন। তখন শচীনবাবু বলেছিলেন, এটা হয় না, আপনি বসুন। শচীন্দ্রলাল বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের একজন অন্য়তম হোতা। মুজিবর রহমানের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেন। শচীন্দ্রলালবাবুর ছোট ছেলে ঢাকায় গিয়েছিলেন। বাবার সৌজন্যে তাঁকে সোনার নৌকা দিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। একসময় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ছিল ত্রিপুরা, রাজ্য গঠন করার ক্ষেত্রেও অগ্রনী ভূমিকা ছিল শচীন্দ্রলাল সিংয়ের। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে দাবি করেছিলেন রেললাইন চাই, ধর্মনগর অবধি সেই রেললাইন স্থাপিত হয়। ১৯৭৭ এ যখন তিনি সাংসদ হন সে সময় তৎকালীন রেলমন্ত্রী মধু দণ্ডবতকে অনশন করার হুমকি দিয়ে বলেছিলেন ধর্মনগর থেকে আগরতলা রেললাইন করতে হবে। যেদিন সংসদ ভবনের সামনে অনশনে বসার কথা, সেদিন সকালে মধু দন্ডবতে তাঁর দিল্লী বাসভবনে এসে সরকারের অর্থিক সমস্যার কথা জানিয়ে বলেন আপাতত কুমারঘাট অবধি রেললাইন দেওয়া হচ্ছে, পড়ে ওটা বর্ধিত করা হবে।শচীন্দ্রলাল সিং খেলার প্রসারের জন্য স্টেডিয়াম করেছিলেন। উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ড. প্রতাপচন্দ্র চন্দ্র। মহারাণী কাঞ্চনপ্রভাদেবী বনমালীপুরে একটি বাড়ি দিয়েছিলেন ত্রিপুরার জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শচীনবাবুকে বসবাস করার জন্য। ত্রিপুরার রূপকার শচীন্দ্রলাল খোঁজ নিয়ে জানলেন ত্রিপুরাতে কোনও মহিলা কলেজ নেই। তিনি মহিলাদের শিক্ষাপ্রসারের জন্য সেই বাড়ি দান করে দেন কলেজ করার জন্য। এখন সেখানে স্থাপিত হয়েছে আগরতলা উইমেন্স কলেজ। শচীনবাবুর প্রধান সহযোগীদের মধ্যে উল্লেখ্যগয় হলেন তসলাম ফা, ওয়াজেদ আলি, মনসুর আলি, চক্র ফা, বুলু কুকি, কৃষ্ণদাস ভট্টাচার্য। এই কৃষ্ণদাস তাঁর মন্ত্রী সভায় অর্থ মন্ত্রী ছিলেন।২০১২-এর ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু অন্তর্জাতিক সন্মেলন কেন্দ্র, ঢাকাতে তৎকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য বাঙালি জাতির শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার নিদর্শনস্বরূপ মরণোত্তর মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সন্মাননা তাঁকে প্রদান করেন।মুজিবর রহমান মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই থাকতেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী, জহরলাল নেহরুর সময় থেকেই। ১৯৭১ ১লা নভেম্বর সারাদিন বিভিন্ন রিফিউজি ক্যাম্প ঘুরে দেখেন সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় ও শচীন্দ্রলাল সিংকে নিয়ে। ফিরে এসে আগরতলা বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে কথাবার্তা চলাকালীন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেন, আপনি সীমান্ত খুলে দিয়েছেন, অস্ত্র ও অর্থ সাহায্য করছেন, আপনি তো দেশকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। ইন্দিরাকে ত্রিপুরার রূপকার শচীন্দ্রলাল জবাব দেন, আমি যা করছি তা দেশের মঙ্গলের জন্যই করেছি এবং আপনার জন্যই করছি। আমি একটা ছোট্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সমগ্র বিশ্ব আপনার নামই করবে, আমার নই। ইতিহাস আপনাকেই স্মরণ করবে। আরও বলেন, আমি আপনার বাবার সঙ্গে রাজনীতি করেছি। আপনি আমাকে রাজনীতি শেখাবেন না। একটা ছোট্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথা হজম না করতে পেরে দিল্লী ফিরেই ১লা নভেম্বর ১৯৭১ রাতে ত্রিপুরাতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করলেন ইন্দিরা। ভেঙে দিলেন কংগ্রেসের-ই সংখ্যাগড়িষ্ট সরকার। তবুও দমলেন না দেশ তথা ত্রিপুরার প্রতি দায়বদ্ধ শচীন্দ্রলাল সিং, তিনি ইন্দিরা গান্ধীকে ফোন করে বলেন Imposition is a great sin। সেই রাতেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী বাসভবন ত্যাগ করে পৈতৃক ভিটে জয়নগরের বাসভবনে ফিরে যান। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন দাপুটে ইন্দিরা গান্ধীকে। তখনও তাঁর পাশে ছিলেন ত্রিপুরার আপামর সাধারণ মানুষ। অনবরত সমর্থন জুগিয়ে গিয়েছেন শচীনবাবুকে। নির্দল প্রার্থী হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন শচীন্দ্রলাল।জাতপাতের উর্দ্ধে রাজনীতি করতেন শচীন্দ্রলাল সিং। মানুষকে মানুষ ভাবতেন। সাধারণের সঙ্গে মিশে যেতে পারতেন অনায়াসে। এই দেশে এমন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এখন অমিল। ত্রিপুরার আদিবাসীরা মনে করতে শচীন্দ্রনাথবাবু তাঁদের ঘরের লোক। আদিবাসী সমাজে তাঁর নাম ফাটা ছিলুম তার মানে ছেঁড়া কাপড়। আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে এতটাই আপন ছিলেন তিনি। কাছে টেনে নিয়েছিলেন মনিপুরি, সংখ্যালঘুসহ সকলকেই। কোনও ভেদাভেদ তাঁকে কখনও স্পর্শ করতে পারেননি। ২০০০ সালে ইহলোক ত্যাগ করলেও ত্রিপুরার মানুষ ভোলেনি শচীন্দ্রলাল সিংকে। এখনও তাঁর জন্মদিনের উৎসবে হাজির হন অগনিত মানুষ।শচীন্দ্রলালবাবুর বড় ছেলে আশিসলাল সিং ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। এখন দলের কোর কমিটির সদস্য। তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের কাছেও আশিসবাবু কাছের মানুষ, মাটির মানুষ। পাহাড় থেকে সমতল হোক রাত-বিরেতে কেউ বিপদে পড়লেই পাশে থাকেন শচীন্দ্রপুত্র আশিসলাল। তিনিও মহান পিতার মতোই কোনও জাতিগত ভেদাভেদে বিশ্বাস করেন না। তাঁর ভাবনাতেও রয়েছে বাবার মতোই ত্রিপুরার উন্নয়ন।

এপ্রিল ২৫, ২০২২
রাজনীতি

কাশীনাথ মিশ্রের আদর্শ মেনে চলার আহ্বান আশিসলালের

বাঁকুড়া বিধানসভা থেকে পাঁচবার বিধায়ক হয়েছিলেন। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কাশীনাথ মিশ্র। ২০১২-এর ১০ এপ্রিল এসএসকেএম হাসপাতালে প্রয়াণ হয়েছিল এই জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের। যিনি নিয়মিত বিধানসভার অধিবেশনে হাজির হতেন। সাধারণের জন্য রাজনীতি করতেন। রবিবার তাঁর প্রয়াণ দিবসে একাধিক কর্মসূচি পালিত হয় বাঁকুড়ায়। সমস্ত অনুষ্ঠানেই যোগ দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।রবিবার সকালে কাশীনাথ মিশ্রের দশম মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তারপর তাঁর স্মরণে ছিল রক্তদান শিবির। এই অনুষ্ঠানে মূল পৃষ্ঠপোষক ছিলেন প্রয়াত কাশিনাথ মিশ্রের স্ত্রী মিনতি মিশ্র। রবীন্দ্র ভবনে ওই অকৃতদার নেতার স্মৃতিচারণা করেন প্রাক্তন সাংসদ অভিজিত মুখোপাধ্যায়, ত্রিপুরা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি আশিসলাল সিং, রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি, জেলা নেতা অরূপ চক্রবর্তী ও অরূপ খাঁ, অলোক মুখোপাধ্যায়, তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সাংগঠনিক সভাপতি দিব্যেন্দু সিনহা মহাপাত্র, সমাজসেবী অচিন্ত্য ঘোষ, লড়াকু নেত্রী বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার মহিলা সভানেত্রী মৌ সেনগুপ্ত, ৬ বারের কাউন্সিলর রাখী রজক, মূল আয়োজক রাহুল সেন, জেলা পরিষদের পূর্ত ও পরিবহণ কর্মাধক্ষ শিবাজী ব্যানার্জী, প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য নেতা পলাশ সাধুখাঁ।ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য আশিসলাল সিং বলেন, কাশীনাথ মিশ্রকে আমরা ভুলতে পারব না। তাঁর কর্মপদ্ধতি থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। তাঁর আদর্শে আমরা চলতে চেষ্টা করব। তাঁর সম্বন্ধে জানতে পারলে আগামী প্রজন্মের অনেক কাজে আসবে। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বক্তারা বলেন, কাশীনাথ মিশ্রের সঙ্গে বিরোধী দলের নেতৃত্বের সঙ্গেও সদ্ভাব ছিল। বিধানসভায় তাঁর অংশগ্রহণ থেকে অনেকেই শিক্ষা নিতে পারেন।

এপ্রিল ১০, ২০২২
দেশ

থমকে ত্রিপুরা তৃণমূলের গতি, বিধানসভা ভোটের আগে অন্য দলে ঝুঁকছে দলের বড় অংশ

বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে রোড শো করার পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের ত্রিপুরা, মেঘালয়ে নির্বাচনে লড়াইয়ের কথা বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে ২৬ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। যদিও কোনও আসনেই জয় পায়নি ঘাসফুল শিবির। এবার লক্ষ্য উত্তর পূর্ব ভারত। কিন্তু ত্রিপুরার সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে আশাহত সেখানকার তৃণমূলের বড় অংশ।তিন দিন আগে ত্রিপুরায় তৃণমূলের মহামিছিলে তেমন জনসমাগম হয়নি বলেই ওই অংশ দাবি করেছে। ওই মিছিলে অংশ নেননি ত্রিপুরা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা কোর কমিটির সদস্য আশিসলাল সিং, প্রাক্তন বিধায়ক আশিস দাস, দলের সংখ্যালঘু নেতা জহিরুদ্দিন শেখসহ নেতৃত্বের বড় অংশ। কয়েকদিন আগেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের একমাত্র কাউন্সিলর যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামি ২০২৩-এ বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে সংগঠনের এমন দশা হলে লড়াই তো দূরের কথা তৃণমূল হালে পানি পাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু বাংলায় বিপুল জয়ের পর ত্রিপুরা অভিযানে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বহু মানুষ তৃণমূলে যোগও দিয়েছিল। কিন্তু কী এমন হল যে দলের বিস্তার না হয়ে, ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে কার্যকলাপ? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে।ত্রিপুরা তৃণমূলের একাংশের দাবি, সম্মান না পেয়ে দল ছেড়েছেন একমাত্র কাউন্সিলর সুমন পাল। এমনকী দলের সংগঠন বৃদ্ধি করতে গিয়ে বিজেপির হাতে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের পাশেও সেভাবে নেতৃত্ব দাঁড়ায়নি বলেই তাঁদের অভিযোগ। ত্রিপুরার ৮ জেলার মধ্যে ৪ জেলায় দল আশিসলাল সিংকে দায়িত্ব দিয়েছিল। অথচ মারধর খেয়ে দিল্লিতে চিকিৎসা করতে চলে যান তিনি। তাঁকেও সামান্য মর্যাদা দেওয়া হয়নি বলে দলের একাংশে অভিযোগ।জানা গিয়েছে, ২১ দিনের নোটিশে ২০১৪-এ ত্রিপুরার দুটি লোকসভা আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেদিন দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন আশিসলাল সিং। ত্রিপুরা পশ্চিম কেন্দ্রে ১ লক্ষ ১৭ হাজারের বেশি ভোট পায় তৃণমূল প্রার্থী রতন চক্রবর্তী। ত্রিপুরা পূর্বে ভৃগুরাম রিয়াং ৭৭ হাজারের বেশি ভোট পায়। দুটি আসনেই তৃণমূল ছিল তৃতীয়, তারপরে চতুর্থ স্থানে ছিল বিজেপি প্রার্থী। ২০১৭-এ ত্রিপুরা তৃণমূলের সভাপতি করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্রলাল সিং-পুত্র আশিসলালকে। ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে জোট গড়ে ত্রিপুরায় প্রার্থী দেয় তৃণমূল। সব আসনেই হেরে যায় তৃণমূল।দলের বিক্ষুব্ধ অংশের বক্তব্য, দলবদলুরা ত্রিপুরায় তৃণমূলের দায়িত্ব নেওয়ায় সংগঠন তলানিতে পৌঁছেছে। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। বিজেপি থেকে আসা প্রাক্তন বিধায়ক আশিস দাস সামাজিক মাধ্যমে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁর স্পষ্ট কথা, দল তাঁকে ত্রিপুরায় দায়িত্ব দিলে বিজেপি-সিপিএমকে টেক্কা দেবে তৃণমূল। পাঁচ-পাঁচবার বিজেপি আশিসলাল সিংয়ের ওপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ। তিনি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। আশিসবাবুর দাবি, কোনও উপজাতিকে ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। তাহলেই বাজিমাত করতে পারবে দল। তিনি চান ত্রিপুরা তৃণমূলের হাল ধরুক আশিস দাস। রেললাইনের পথ ঘুরিয়ে জনজাতিদের উচ্ছেদ রুখে ছিলেন আশিসলাল। সিপিএম সরকার রেললাইনের ম্যাপিং করেছিল। কিন্তু তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় ১০ হাজার জনজাতিকে উচ্ছেদ হতে হয়নি। সেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন শচীন্দ্রলাল-পুত্র। মাছমারায় বাঁশের সেতু লোহার সেতু হয়েছে, তাঁরই উদ্যোগে হাসপাতাল হয়েছে।এই মুহূর্তে ত্রিপুরার পাহাড়ী এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ত্রিপ্রা মথা। তবে সমতলেও প্রভাব বাড়ছে দুবছর আগে তৈরি হওয়া এই দলের। সূত্রের খবর, শচীন্দ্রলাল-কন্যা নন্দিতা সিং, শ্যামাচরণ ত্রিপুরার মেয়ে অদিতি ত্রিপুরা, শচীন্দ্রলাল সিংয়ের মন্ত্রীসভার প্রাক্তন জনপ্রিয় মন্ত্রী তসলমফা ওরফে রাজপ্রসাদ চৌধুরী-র পুত্র ভৃগুরাম রিয়াং ত্রিপ্রা মাথায় যোগ দিতে পারেন। সূত্রের খবর, তৃণমূলে বসে যাওয়া নেতা-কর্মীদের একটা বড় অংশ নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন ত্রিপ্রা মথার সঙ্গে। বছর গড়ালেই বিধানসভা ভোট। তাই অনেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। সূত্রের খবর, আশিসলাল ব্যক্তিগত ভাবে দল ছাড়তে চাইছেন না। কিন্তু কর্মীরা ক্ষিপ্ত। সংখ্যালঘু ও পাহাড়ের তৃণমূলীরা কি সিদ্ধান্ত নেবে তা নিয়ে ব্যাপক সংশয় আছে। তাঁরা মনে করছে, এমন চলতে থাকলে আশিসবাবুও তাঁদের পথ ধরতে পারেন।ত্রিপুরার পাহাড়ের কোনায় কোনায় ঘাসফুলের পতাকা উড়েছে। এবার তা বন্ধ হতে বসেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল কর্মী মুজিবর মারা গিয়েছেন। তাঁকে জখম অবস্থায় নেতৃত্ব ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। মুজিব ও তাঁর স্ত্রী সেদিন টোটো করে বাড়ি যায়। জানা গিয়েছে, মামন খানকে বেধরক মারধর করা হয়েছিল। এসএসকেএম থেকে ফিরে আসছে তাঁরও খোঁজ নেয় না দল। ত্রিপুরার নন্দীগ্রামে দলের পতাকা উচিঁয়ে রেখেছে বেচারাম দাস। তাঁকে ১৫ অগাস্ট বেধরক মারধর হয়। তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেয়, অথচ দল খবরই নেয়নি বলে অভিযোগ। আশিসলাল সিং বিজেপির কাছে মার খেল, ত্রিপুরা তৃণমূল নাকি তখনও চুপ ছিল। তৃণমূলের মহিলা নেতৃত্বও নিগৃহীত হয়েছেন। অমরপুর পাহাড়ের জঙ্গলে বাচ্চা কোলে অবস্থায় এক মহিলাকে গুলি মারা হয়েছিল। সেখানে কর্মীদের নিয়ে রাতেই পৌঁছে গিয়েছিলেন আশিসলাল। তাছাড়া খুমলুঙে মদ্য়পরা ছাত্রদের ব্যাপক মারধর করেছিল। খুমলুঙ জ্বলছিল। অশান্ত খুমলুঙে গিয়েছিলেন আশিসবাবু। যে পার্কে সেদিন ঘটনা ঘটেছিল তা দাবি জানিয়ে বন্ধ করিয়েছিলেন তিনি। সেদিনও আগরতলা শহর থেকে কেউ যায়নি।কার্যত ত্রিপুরার দলের কর্মীরা নেতৃত্বের ওপর ভরসা হারাচ্ছে বলেই খবর। দলের ওই অংশের বক্তব্য, পার্টি অফিস হয়নি বরং বাড়িতে বাড়িতে দলের অফিস গড়ে উঠছে। সেসব জায়গায় অনেকে যেতেও পারছেন না। রাজনৈতিক মহলের মতে, দলের এমন দশা থাকলে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় কোনও আশা না করাই ভাল। অল্প সংখ্যক ভোট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে ঘাসফুল শিবিরকে।

এপ্রিল ০৯, ২০২২

ট্রেন্ডিং

দেশ

অভিনব প্রতারণা, বীরভূমের বিভাস অধিকারী গ্রেফতার, ধৃত পুত্র-সহ আরও পাঁচ

উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় পুলিশকে চমকে দিয়ে ফাঁস হল এক অভিনব প্রতারণা চক্র। মূল অভিযুক্ত বীরভূমের বাসিন্দা বিভাস অধিকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত হয়েছে তাঁর পুত্র-সহ মোট ছয় জন।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা নয়ডায় এক ভুয়ো থানা গড়ে তুলেছিল। পুলিশি পোশাক, ব্যাজ, নকল সিলমোহর, সরকারি কাগজপত্রসবকিছু সাজানো হয়েছিল আসল থানার মতো করে। এই থানা থেকেই চাকরি পাইয়ে দেওয়া, মামলার সমাধান এবং ব্যবসায়িক অনুমোদনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা টাকা হাতানো হত।গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নয়ডা পুলিশ গত সপ্তাহে হানা দেয় ওই স্থানে। সেখান থেকে উদ্ধার হয় নকল পরিচয়পত্র, নিয়োগপত্র, পুলিশি পোশাক, সরকারি সিল, নগদ অর্থ এবং কম্পিউটার সেটআপ।পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই প্রতারণা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে চলছিল। শুধু নয়ডা নয়, দিল্লি ও এনসিআর এলাকাতেও এদের যোগাযোগ ছিল।তদন্তকারীদের অনুমান, দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রতারণা চলছিল। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একাধিক অভিযোগ হাতে আসার পর শুরু হয় গোপন নজরদারি। এরপরই গত সপ্তাহে হানা দিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে নয়ডা পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে নকল পরিচয়পত্র, ভুয়ো নিয়োগপত্র, পুলিশি পোশাক, সরকারি সিল, নগদ অর্থ এবং বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে।অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পাশাপাশি রাজ্য-স্তরে এদের যোগাযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আগস্ট ১০, ২০২৫
কলকাতা

আরজি কর কাণ্ডের একবছরে নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম, অঘোষিত এমার্জেন্সি দেখছে শুভেন্দু

নবান্ন অভিমানকে কেন্দ্র করে শনিবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। অভয়ার মৃত্যুর বিচার চেয়ে এক বছরে নবান্ন অভিমানের ডাক দিয়েছিল তাঁর বাবা-মা। সেই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পদযাত্রা থেকে অভয়ার বাবা ও মাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। বিক্ষোভে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ। এদিকে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গে যেন অঘোষিত ইমারজেন্সি জারি করেছে মমতা পুলিশ। গত বছর আজকের দিনে কর্তব্যরতা তরুণী চিকিৎসক বোন অভয়া খুন ও ধর্ষণ হন। তার ন্যায়বিচারের দাবি নিয়ে অভয়ার বাবা ও মা তাদের ন্যায্য অধিকার বুঝেনিতে পশ্চিমবঙ্গের সর্বস্তরের জনগণকে আহ্বান জানান নবান্ন যাওয়ার।উক্ত কর্মসূচি পূর্ব ঘোষিত, মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট অনুমোদিত কর্মসূচি। নিরীহ, নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের উপর মমতা পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। গুরুতর আহত হন অভয়ার বাবা ও মা সহ অনেকেই। তাদেরকে সুচিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও তার দলদাস প্রশাসন ন্যায় বিচার দিতে পারে না অথচ এই একপেশে অত্যাচার করে তাদেরকে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ আর সহ্য করবে না। এবার এর বদল হবে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি অযথা রাজনীতি করেছে বিজেপি। সেই ফাঁদে পা দিয়েছে অভয়ার বাবা, মা।

আগস্ট ০৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে অস্বস্তি বাড়ল সিএবি যুগ্ম সচিবের, জানুন কারণ

সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে অস্বস্তি বাড়ল যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের। টাউন ক্লাবে খেলানো থেকে বাংলা দলে সুযোগ করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতিশ্রুতিভঙ্গ, সিএবিকে টিকিট বাবদ কয়েক লক্ষ টাকা না মেটানো-সহ বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও কোষাধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী, সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য মহাদেব চক্রবর্তী, সিএবির সাব কমিটির সদস্য অম্বরীশ মিত্রর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে আলোচনার কথা ছিল গতকাল অ্যাপেক্স কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে। অভিযুক্ত সদস্যরা বৈঠকে থাকতে পারবেন বলেও আগেই সিদ্ধান্ত হয়।সিএবি সূত্রে খবর, দেবব্রত দাসকে বলা হয়েছে, টিকিট বাবদ বকেয়া অর্থ ১৫ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে। সেই জবাব এলে তা পাঠানো হবে ওম্বুডসম্যানের কাছে।প্রবীর চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি শেষ হয়েছে। এবার সিদ্ধান্ত জানাবেন ওম্বুডসম্যান। প্রবীরের বিরুদ্ধে উয়াড়ি ক্লাব কী পদক্ষেপ করবে বা কোন পথে আইনি লড়াই চলবে সে ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না সিএবি। তবে সিএবির তরফে বরাদ্দকৃত অর্থ কোন খাতে কতটা ব্যবহৃত হয়েছে সেই ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট না আসা অবধি উয়াড়ি ও এরিয়ান ক্লাবের জন্য আর্থিক অনুদান বন্ধ থাকবে।অম্বরীশের নামে যে আইনজীবী চিঠি পাঠিয়ে অভিযোগ করেছিলেন তিনি তা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এই বিষয়ে আর আলোচনা হয়নি। মহাদেব অ্যাপেক্স কাউন্সিলে নিয়ম মেনে এসেছিলেন কিনা সে বিষয়েও আর জলঘোলা হয়নি তিনি কলকাতা পুলিশ থেকে অবসর নেওয়ায় এবং বর্তমান অ্যাপেক্স কাউন্সিলের মেয়াদ শেষ হয়ে আসায়। ইস্টবেঙ্গল বনাম ভবানীপুর লিগ ফাইনালে যে অবাঞ্ছিত বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছিল তার জন্য দুই আম্পায়ার, পর্যবেক্ষক ও কয়েকজন ক্রিকেটারের শাস্তি হয়েছে। ওই পর্যবেক্ষক ও আম্পায়াররা আর পরের বছর লিগ ফাইনাল খেলাতে পারবেন না। সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল-সহ কয়েকজন ক্রিকেটারকে খান চারেক লিগ ম্যাচে দেখা যাবে না, তাঁদের বিরুদ্ধে আচরণবিধির লেভেল থ্রি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, ওই ন্যক্কারজনক ঘটনার পরেই কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।

আগস্ট ০৬, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ওভালে ইতিহাস! 'নেভার গিভ আপ' আর 'বিলিভ' মন্ত্রেই শুভমান-সিরাজদের বাজিমাত

ওভালে ইতিহাস গড়ল ভারত। ৬ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে। যা টেস্টে গত একশো বছরে দেখেনি ওভাল। টেস্টে রানের নিরিখে এটিই ভারতের সবচেয়ে কম ব্যবধানে জয়। যার ফলে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির পাঁচ টেস্টের সিরিজ ২-২। প্রতিটি টেস্ট পঞ্চম দিন অবধি গড়িয়েছে, যা টেস্ট ফরম্যাটের সেরা বিজ্ঞাপন।আজ শেষদিন টেস্ট জিততে ভারতের দরকার ছিল চার উইকেট, ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩৫ রান। জেমি স্মিথ আর জেমি ওভার্টনকে ফিরিয়ে দেন মহম্মদ সিরাজ। জশ টং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর শিকার। এরপর এক হাতে ব্যাট করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামেন ক্রিস ওকস। কাঁধের হাড় সরেছে ফিল্ডিং করতে গিয়ে। দৌড়ে রান নেওয়ার সময় যন্ত্রণা ধরা পড়ছিল তাঁর অভিব্যক্তিতে। তবে ব্যাট করতে হয়নি। গাস অ্যাটকিনসন মরণপণ চেষ্টা করছিলেন। যদিও মহম্মদ সিরাজের পারফেক্ট ইয়র্কার ভারতকে উপহার দিল স্মরণীয় জয়। হ্যারি ব্রুক ও জো রুটের ১৯৫ রানের পার্টনারশিপ ইংল্যান্ডের সিরিজ জেতার সম্ভাবনা জোরালো করেছিল। যদিও ৬৬ রানের মধ্যে শেষ সাত উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড থামল ৩৬৭ রানে। শেষ ৬ উইকেটের পতন ৩৫ রানের মধ্যে।মহম্মদ সিরাজ পাঁচটি টেস্টেই খেলেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন। সিরিজে সর্বাধিক উইকেটশিকারী। সিরাজ বললেন, গতকাল যদি ব্রুকের ক্যাচটা নিতে পারতাম তাহলে খেলা আজ অবধি গড়াত না। ওই ক্যাচ পড়ার পর ব্রুক টি২০ মেজাজে খেলতে থাকেন। ফলে ওটা ম্যাচ চেঞ্জিং মোমেন্ট হতে পারতো। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল যে আমিই জেতাতে পারব। বিলিভ লেখা ইমেজ গুগল থেকে নামিয়ে ওয়ালপেপারে রেখেছিলাম দলকে জেতানোর অঙ্গীকার করে।লর্ডস টেস্টে ভারত হেরেছিল। মহম্মদ সিরাজ রক্ষণাত্মকভাবে খেলার পরেও বল গড়িয়ে উইকেটে লেগে বেল পড়েছিল, জেতে ইংল্যান্ড। আজ সেই সিরাজ শেষ উইকেট পেলেন অ্যাটকিনসনকে বোল্ড করে। সিরাজের কথায়, সেদিন রবীন্দ্র জাদেজা বলেছিলেন ঠিকঠাক ডিফেন্স করতে আর প্রয়াত বাবার কথা মাথায় রাখতে, যাঁর জন্যে এই অবধি পৌঁছেছি। কিন্তু সেদিন পারিনি জেতাতে। আজ জিততে পেরে ভালো লাগছে। রবি শাস্ত্রী তো বলেই দিলেন, সিরাজ হায়দরাবাদে ফিরলে তাঁকে প্রোমোশন দেওয়া উচিত। আর ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ যথেষ্ট নয়!ভারত অধিনায়ক শুভমান গিলকে জড়িয়ে ধরতে দেখা গেল হেড কোচ গৌতম গম্ভীরকে। দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে আর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে টেস্ট সিরিজ হারের পর এই প্রথম গম্ভীরের প্রশিক্ষণাধীন ভারত টেস্ট সিরিজ ড্র করল। ভারতীয় শিবির ওভালে রুদ্ধশ্বাস টেস্ট জেতাকে সিরিজ জয় হিসেবেই ভাবছে। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজেই সিরিজ সেরা হলেন সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী গিল, ইংল্যান্ডের তরফে ব্রুক। শুভমান বলেন, দলে কৃষ্ণ, সিরাজের মতো বোলার থাকলে অধিনায়কের কাজ সহজ হয়ে যায়। উই নেভার গিভ আপ। অর্থাৎ শেষ অবধি নাছোড় লড়াই চালানোই যে তাঁদের মূল মন্ত্র সেটাও জানাতে ভুললেন না দল নিয়ে গর্বিত গিল। গিল যথার্থই বললেন, এই সিরিজে সব টেস্টের শেষদিনের শুরুতেও কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি কে জিতবে। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস চোটের কারণে ওভালে খেলতে পারেননি। তিনি গিলের সঙ্গে সহমত যে, দুই দল যেভাবে এই সিরিজ খেলল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা-সহ, তার যথার্থ প্রতিফলন ২-২ ফল হওয়া।

আগস্ট ০৪, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal